পাসপোর্ট সংশোধন করা বর্তমানে খুবি সহজ। জানুন পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে, কিভাবে অনলাইনে সংশোধনের আবেদন করবেন। এ বিসয় বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন।
আমাদের জদের পাসপোর্ট রয়েছে তাদের অনেকেরি পাসপোর্টে কিছু ভুল রয়েছে যা সংশোধন করা খুবি জরুরি। পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত বাংলাদেশ সরকার সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে বলেছেন। বাংলাদেশের কোন নাগরিকের পাসপোর্টে কোন ভুল থাকলে জাতিয় পরিচ পত্র (NID) দাখিল করে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হবে।
এবং ১৮ বছরের আগে পাসপোর্ট কৃত ব্যাক্তিদের জন্ম সনদ সহ একাডেমির যে কোন একটি সনদ দাখিলে পাসপোর্ট সংশোধনে বিবিচনা করা জাবে। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এবং সংসলিস্ট ওয়েব সাইট থেকে একটি অঙ্গীকারনামা দাখির করতে হবে।
পাসপোর্ট সংশোধন আবেদনে যে সকল তথ্য পরিবর্তন করা যাবে
পাসপোর্ট সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে যে সকল তথ্যের পরিবর্তন করা জাবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
- নামঃ
- জন্মতারিখ
- জাতীয়তা
- পেশা
- ঠিকানা
- ধর্ম
- লিঙ্গ
- ফটো
বিশেষভাবে উল্লেখ করা হল যে, পাসপোর্টে তথ্য সংশোধন করার জন্য আপনাকে প্রমাণ পত্র দাখিল করতে হবে। যেমন জন্মনিবন্ধন , ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি অন্যান্যডকুমেন্টসদাখিল করতে পারেন যাতে আপনার সংশোধিত তথ্য সঠিক প্রমাণিত হয়।
পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম
পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম এবং প্রক্রিয়াগুলি দেশ থেকে দেশে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণভাবে পাসপোর্ট সংশোধন করার প্রক্রিয়া নিম্নলিখিত ভাবে চলতে পারে:
পাসপোর্ট সংশোধন করতে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়জনিয় সকল ডকুমেন্ট আপলোর্ড করতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধন করতে নিচের দাপ গুল ফলো করুন।
- আপনার দাখিল ক্রিত ডকুমেন্ট অনুজাই আবেদন করুন।
- এর পরে পাসপোর্ট সংশোধনের কারণ স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করুন। সাধারণভাবে পাসপোর্টের নাম, জাতীয়তা, জন্মতারিখ, ঠিকানা, ধর্ম ইত্যাদি পরিবর্তনের জন্য সংশোধনের আবেদন করা হয়।
- পাসপোর্ট সংশোধনের পরিবর্তি সময়ে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যাতে পাসপোর্ট অফিসের কর্মীরা আপনার তথ্য গুলো জাচাই করতে পারে।
- পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য প্রমাণ পত্র সংগ্রহ করুন। যেমনঃ জন্মনিবন্ধন , ভোটার আইডি কার্ড, একাডেমি সনদ, ইত্যাদি।
- পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পরে আপনাকে পাসপোর্ট সংশোধন এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আপনি অফিসে বা অনলাইনে ফর্মটি পূরণ করতে পারেন, যেখানে সংশোধন করতে আপনার সুবিদা হবে।
- পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। ফি প্রদানের নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও পরিমাণ দেশের পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিয়মাবলীর মতো ভিন্ন হতে পারে।
সপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে
আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে প্রধানত যে সকল কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
- অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- চেয়ার ম্যানের প্রত্যায়ন পত্র
- লিখিত আবেদন
- অঙ্গীকারনামা
- পুরাতন পাসপোর্টের কপি
নোটঃ স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করলে আপনার দাখিল ক্রিত তথ্যগুলো স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও অন্যান্য গয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করা হতে পারে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত দিন লাগে
পাসপোর্ট সংশোধন করার সময় পাসপোর্ট অফিসের নীতি প্রক্রিয়া এবং প্রসেসিং এর উপর নির্ভর করে। এই কারণে এক এক সময় পাসপোর্ট সংশোধন করতে আলাদা আলাদা সময় লাগে।
সাধারণভাবে, পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য তিন থেকে সাত দিন সময় লাগে থাকে। এটা জানার জন্য জন্য আপনার স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে জোগাজোগ করতে পারেন।
পাসপোর্ট সংশোধনের প্রসেসিং দ্রুত করার করাতে চান তবে প্রসেসিং সময় কমানর জন্য একটি দ্রুত সেবা গ্রহন করতে পারে। যেমন আপনি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তদের শাথে কথা বলে তাদের একটা অতিরিক্ত ফি প্রদান করলে আপনার পাসপোর্ট অতি দ্রত সংশোধিত হয়ে জাবে।
পাসপোর্ট সংশোধন ফি
পাসপোর্ট সংশোধনের ফি আপনার পাসপোর্ট সংশোধনের ধরণ অনুসারে নির্ধারন হয়ে থাকে। আমি এখানে কিছু তথ্য উল্লেখ করব, তবে এই তথ্যগুলি কেবলমাত্র আপনার দেশের বর্তমান নীতি এবং অনুমোদিত ফি সম্পর্কে বিশেষভাবে যাচাই করার জন্য আপনাকে আপনার পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা উচিত।
সাধারণভাবে পাসপোর্টে যেসকল তথ্য সংশোধনের ফি প্রযোজ্য হয়ে থাকেঃ
- নাম সংশোধন করতে চান।
- জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান।
- ঠিকানা সংশোধন করতে চান।
- প্রশাসনিক তথ্য সংশোধন করতে চান।
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য ফির পরিমাণ পাসপোর্টের স্বাভাবিক মেয়াদ সংশোধনের ধরণের উপর নির্ভর করে থাকে। এটি সাধারণভাবে মুল পাসপোর্টের সমতুল্য ফি থেকে সুরু করে ১৫০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য অঙ্গীকারনামা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফর্ম যা পাসপোর্ট সংশোধনের সময় দাখিল করতে হয়। এটি সংশোধনের ধরণ অনুসারে বিভিন্ন তথ্যের সাথে প্রধান করতে হয়। যেমন, নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, স্বাক্ষর ইত্যাদি।
পাসপোর্ট সংশোধনের অঙ্গীকারনামা খুবি সাধারণ হয়ে থাকে। এটি পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে বা অফিসে গিয়ে সগ্রহ করতে পারেন।
অঙ্গীকারনামা দাখিল করার সময় এটির নিম্নলিখিত তথ্যগুলি অনুমোদন করার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি সাক্ষাতকার সহ দাখিল করা হয়। যেমন
- নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- জন্ম তারিখ
- ঠিকানা
- স্বাক্ষর
অঙ্গীকারনামা দাখিল করার পর আপনি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে পারেন। অফিসের কর্মীরা আপনার অঙ্গীকারনামা পরীক্ষা করে পাসপোর্ট সংশোধন করার অনুমোদন দেবে।
FAQ
এনআইডি অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করা যাবেে
আপনি চাইলে এনআইডি অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারেন। তবে সংশোধনের আগে আপনার অবস্যই যাচাই করতে হবে যে আপনার এনআইডি কার্ডের সকল তথ্য সঠিক কিনা।
কিভাবে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হয়?
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের নির্ধারিত কাগজ দাখিল করে অনলাই বা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হয়।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?
উপরে ইল্লেখিত তথ্য জানানো হয়েছে পাসপোর্ট সংশোধন করার সকল খরচ সম্পর্কে।
কিভাবে পাসপোর্ট সংশোধন করব?
আপনার এনআইডি / জন্ম সনদ বা একাডেমি ট্রান্সকিপের কপি নিয়ে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আবেদন করুন।
পাসপোর্ট কি সংশোধন করা যায়
আপনার কাছে সঠিক তথ্যের ডকুমেন্ট থাকলে আপনি অতি সহযেই আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের কতদিন পর পাসপোর্ট পাওয়া যায়
সাধারনত পুলিশ ভেরিফিকেশনের ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক গন পাসপোর্ট সংশোধন নিয়ম সহ পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এবং কি কি কাগজ লাগে এ বিষয়ে বিস্তারিত ।ালোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তবুও আনার আরো কোন তথ্য জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। ধণ্যবাদ